বগুড়া শহর থেকে উওরে অবস্থিত শিবগঞ্জ উপজেলা। শিবগঞ্জ নাম টি আসে পূর্বে হিন্দুদের এলাকা ছিল এবং সেখানে অনেক শিব মন্দির ছিল পরবর্তীতে শিবগঞ্জ নামে নামকরণ করা হয়।
শিবগঞ্জের আয়তন হলো ৩১৫.৩৩ বর্গকিলোমিটার , ১২১.৭৫বর্গ মাইল।
শিবগঞ্জের জন সংখ্যা ৩,৫২,৪১৫ জন, যার প্রতি কিলোমিটারে জনসংখ্যা ১১১৮ জন।
শিবগঞ্জ উপজেলা মোট ১২ টি ইউনিয়ন ও ৪৩৬ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। শিক্ষার হার ৬৫%। শিবগঞ্জে শিক্ষার মান অনেক ভালো এখানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ১৫৭ টি এবং উচ্চ বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪৪টি, আলিম ফাজিল ও কামিল মাদরাসা আসে ২৭টি এবং কলেজ আছে ১০ টি
শিবগঞ্জে দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে রয়েছে ,
মহাস্থানগড় ( পুন্ড্রবর্ধন প্রাচীনতম নগরী) ;
বেহুলার বাসর ঘর;
প্রত্নতান্তিক জাদুঘর মহাস্থান;
হযরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী এর মাজার মহাস্থান;
ভাসু বিহার;
ও মসলা গবেষণা কেন্দ্র।
এছাড়াও রয়েছে ছোট বড় পার্ক যা শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে যেমন
শিবগঞ্জ শিশু পার্ক ;
গুজিয়া বিউটি পার্ক ।
এছাড়াও সবচেয়ে বড় আর্কষণ শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নে অবস্থিত
টুটুলের বাড়ি যা রাজ প্রসাদের মতো ।
ইতিহাস
শিবগঞ্জের রাজনৈতিক দিক থেকেও অনেক সুন্দর এবং শক্তি শালি একটা উপজেলা।
এখানে
প্রফুল্ল চাকী ( ১৮৮৮-১৯০৮) ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন নেতার
এম আর, আখতার মুকুল, ( ১৯২৯- ২০০৪) লেখক এবং সাংবাদিক।
প্রথম জাতীয় সংসদ সদস্য, তৃতীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্তী।
ফজলুল বাড়ি যিনি পাকিস্তানি আমলে স্বাস্থ্য ও সমাজ কল্যাণ পদে মন্তী ছিলেন
এই সব মহান মানুষের জন্ম এই শিবগঞ্জে
এছাড়াও বর্তমান
মাহমুদুর রহমান মান্না বাংলাদেশ রাজনৈতিক বিদদের মধ্যে অন্যতম একজন। তিনিও এই শিবগঞ্জের মানুষ।
প্রাশাসনিক অবস্থা
শিবগঞ্জের প্রাশাসনিক অবস্থা খুবই ভালো ।এখানে মানুষের সেবা এবং বিভিন্ন কাজে মানুষের পাশে দাড়ানোর মতো প্রাশাসনিক ব্যাবস্থা রয়েছে। এবং চিকিৎসা সেবার জন্য শিবগঞ্জ সরকারি হাসপাল রয়েছে। রয়েছে ছোট বড় অনেক গুলা ক্লিনিক। যা শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পাশে অবস্থিত। এছাড়াও ভালো মানের খাবার ও ভালে রেষ্টুরেন্টও এই উপজেলাতে রয়েছে।